করোনা পরিস্থিতিতে ই - বাইক তৈরী করে নজর কেড়েছেন যুবক : সাহায‍্য পেলে উৎপাদন বৃদ্ধি

25th September 2020 4:13 pm বাঁকুড়া
করোনা পরিস্থিতিতে ই - বাইক তৈরী করে নজর কেড়েছেন যুবক : সাহায‍্য পেলে উৎপাদন বৃদ্ধি


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত। তার মধ্যেই 'গোদের উপর বিষ ফোঁড়া'র মতো হাজির অতিমারী করোনা। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্তের। এই অবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরোনো রোহিন দাস কর্মকারের সৌজন্যে বাইক প্রেমীদের জন্য সুখবর। বাঁকুড়ার ইন্দাসের শাশপুরের বাসিন্দা এই যুবক বিষ্ণুপুর শহরের শালবাগানে নিজের মোটর বাইকের 'সকার' তৈরীর কারখানায় বসে তৈরী করে ফেলেছেন ইকো ফ্রেণ্ডলী সাইকেল। মাত্র এক ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করে প্রায় একটা দিন নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ানো যায়। চলতি করোনাময় পরিস্থিতিতে একটা বড় অংশের মানুষের হাতে কাজ নেই। একটা নিজের বাইক কেনার সাধ থাকলেও সাধ্য নেই অনেকের। অন্যদিকে করোনা করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে নানান প্রয়োজন বা কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে সার্বজনীন পরিবহন ব্যবস্থাকে এড়াতে চাইছেন অনেকেই। বিষ্ণুপুরের রোহিন দাস কর্মকারের নয়া আবিস্কার, স্বল্প মূল্যের এই ই-সাইকেল তাঁদের খুব কাজে লাগবে বলেই মনে করছেন। একই সঙ্গে এই ই-সাইকেল দেখতে প্রতিদিন আট থেকে আশি অনেকেই ভীড় করছেন আবিস্কারকের বাড়িতে। তার এই আবিস্কার প্রসঙ্গে 'আবিস্কর্তা' রোহিন দাস কর্মকার বলেন,  অনেকের সাধ থাকলেও শুধুমাত্র সাধ্যের অভাবে নিজের একটা বাইক বা স্কুটি কেনা হয়ে ওঠেনা। বরাবরই নতুন কিছু চিন্তা ভাবনা বরাবরই মাথায় ঘোরে। এই অবস্থায় সেই রকমই ভাবতে ভাবতে এই ই-সাইকেল তৈরীর ভাবনা মাথায় আসে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যোগাড় করে রুপ পায় বর্তমান এই ই-সাইকেলের। কতো খরচ পড়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মাত্র ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকাতেই তৈরী। আগামী বানিজ্যিকভাবে উৎপাদনের ভাবনা থাকলেও এখনই তা সম্ভব নয় সরকারী আনুকূল্য ছাড়া বলেই তিনি জানিয়েছেন।বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত বলেন, বিষয়টি ভালো লেগেছে। উনি চাইলে কর্মসাথী প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারেন। এব্যাপারে প্রশাসনের তরফে তাকে সাহায্য করা হবে বলে তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।